ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম সংগ্রহ করবেন কিভাবে এবং পাসপোর্ট আবেদন করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের আজকের নিবন্ধন। আজ আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন দেওয়ার চেষ্টা করব, ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার বিষয়ে।
তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, যদি আপনি ই পাসপোর্ট এর জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও শর্তাবলী, ই পাসপোর্টের আবেদন ট্র্যাকিং পদ্ধতি, ই পাসপোর্ট সংগ্রহের পদ্ধতি এবং ই পাসপোর্ট সংক্রান্ত সাধারণ সমস্যা ও তার সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম
ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম – E passport Apply online সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে ই পাসপোর্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা এবং সুবিধা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চলছে।
একটা সময় ছিল যখন শুধুমাত্র ভ্রমণের প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য ব্যবহার করা হতো এই ই-পাসপোর্ট, কিন্তু বর্তমানে তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে।
আপনি হয়তো জানেন, ই-পাসপোর্ট একটি আধুনিক পাসপোর্ট যা একটি এমবেডেড ইলেকট্রনিক চিপের মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করে। এটি আপনার পরিচয় এবং ভ্রমণের তথ্য দ্রুত যাচাই করতে সহায়তা করে।
এর সুবিধাগুলো হলো – উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত, দ্রুত ইমিগ্রেশনে সহযোগিতা এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি। তবে পাসপোর্ট ও ই পাসপোর্ট এর মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। এ সম্পর্কে যদি আপনি খুঁটিনাটি জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত “ই-পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং ১০ বছর ও ৫ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট নিয়ে অন্যান্য পোস্টগুলো পড়তে পারেন। যেখানে বিস্তারিতভাবে এগুলোর পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে।
তার আগে আসুন জেনে নেই, কিভাবে আপনি ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম সংগ্রহ করবেন ও অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন কার্যপ্রক্রিয়া সম্পাদন করতে পারবেন! এর পাশাপাশি আপনি জানার জন্য আরো পড়তে পারেন- “পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে” এ নিয়ে আরেকটি আর্টিকেল।
ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম সংগ্রহের পদ্ধতি ও পূরণের নির্দেশনাবলী
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম সংগ্রহের জন্য আপনার কাছে থাকতে হবে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস। সেটা হতে পারে কম্পিউটার, ল্যাপটপ অথবা স্মার্ট এন্ড্রয়েড ফোন। যেকোনো একটি থাকলে আপনি সরাসরি ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করুন। অতঃপর সেখানে গিয়ে সার্চ করুন e-passport apply online এমন কিছু লিখে।
অতঃপর ভিজিট করুন সাজেস্টকৃত ওয়েবসাইটে। ওয়েবসাইটের নাম হলো www.epassport.gov.bd, যেখান থেকে আপনি ই পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশনাবলী, অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সংগ্রহের উপায়, অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস চেক করার অপশন এবং রেজিস্ট্রেশন পোর্টাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
যেমন এই মুহূর্তে আমি উল্লেখ করছি ই পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশনা হিসেবে আপনাকে কোন কোন বিষয় মানতে হবে সেগুলো, যা পাসপোর্ট সংগ্রহের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আমি কালেক্ট করেছি। এগুলো হলো–
✓ ১। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে।
✓ ২। ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না।
✓ ৩। ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।
✓ ৪। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।
✓ ৫। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
✓ ৬। জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে-
- (ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version).
- (খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version)
- (গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রহণযোগ্য হবে।
✓ ৭। তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।
✓ ৮। দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে।
✓ ৯। আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।
✓ ১০। ১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।
✓ ১১। প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।
✓ ১২। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে।
✓ ১৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।
আরও দেখুনঃ পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
✓ ১৪। দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।
✓ ১৫। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদন পত্র দাখিল করতে হবে
✓ ১৬। বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
✓ ১৭। অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।
✓ ১৮। (ক) দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
(গ) দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
✓ ১৯। আবেদনের সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
✓ ২০। পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।
✓ ২১। হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
✓ ২২। ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ আর (3R Size) সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে।
✓ ২৩। পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সময় পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জিডি কপিসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে ।
এখন কথা হচ্ছে, কিভাবে ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম PDF খুঁজে বের করবেন এবং ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম ডাউনলোড করবেন! ডাউনলোড করার নিয়ম সম্পর্কিত আলোচনা থাকছে আর্টিকেলের নিচের অংশে।
ই পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন এর নিয়ম
আপনি যদি ইতোমধ্যে ই পাসপোর্ট তৈরির নির্দেশনা গুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এটা ক্লিয়ার ই-পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে অনলাইন ভিত্তিক। মানে আপনাকে অনলাইনেই আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। অতএব একদমই ই-পাসপোর্টের জন্য আলাদা কোনো পিডিএফ ফরম ডাউনলোড করার প্রয়োজন পড়বেনা। তবুও চেক করার জন্য নিচের নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারেন।
ধাপ ১: ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ।
প্রথমে ই-পাসপোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। এটি বাংলাদেশ সরকারের পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের অফিসিয়াল পোর্টাল। এরজন্য আপনার ব্রাউজারে epassport/www.epassport.gov.bd লিখে সার্চ করুন। অতঃপর ভিজিট করুন সাজেস্ট কৃত প্রথম ওয়েবসাইটে।
ধাপ ২: আবেদনকারীর ধরন নির্বাচন।
হোমপেজে “Apply online for e passport”/“Apply for ePassport re issue বা “ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করুন। ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সামনে নিচের সাজেস্টককৃত পেজ তুলে ধরা হবে। এ পর্যায়ে আপনাকে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে হবে। যেমন- আপনি কোন দেশ থেকে এপ্লাই করছেন, আপনার বর্তমান ঠিকানা ও পার্মানেন্ট ঠিকানা। অতঃপর ক্লিক করতে হবে কন্টিনিউ বাটনে।
ধাপ -৩: অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন প্রদান।
এ-পর্যায়ে আপনি আপনার একাউন্ট ক্রিয়েট করার জন্য অর্থাৎ অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনের জন্য যে মেইল ব্যবহার করে একাউন্ট ক্রিয়েট করছেন তার পাসওয়ার্ড, অ্যাকাউন্ট ধারীর নাম, মোবাইল নাম্বার এটা দিয়ে প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন নিচের ছবির ন্যায় পূরণ করে ক্লিক করুন create account অপশনে। ক্লিক করার পূর্বে অবশ্যই সিলেক্ট করে নেবেন I am human লেখাটি।
ধাপ ৪: ডাউনলোড কার্যপ্রক্রিয়া সম্পন্ন।
আপনার দেওয়া মেইল চেক করে activation link এ ক্লিক করে , আপনার একাউন্ট ক্লিয়েট করে নিন। এর দ্বারা আপনার একাউন্ট একটিভ হবে।
ধাপ ৫: ডাউনলোড কার্যপ্রক্রিয়া সম্পন্ন।
আপনি যদি এ পর্যন্ত কাজটি সম্পন্ন করেন, অতঃপর আপনাকে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হবে । আর যদি ইতোমধ্যে আপনি আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনাকে অনুসন্ধান করতে হবে আবেদন ফরম ডাউনলোড অপশন। অতঃপর download application form লেখাটিতে ক্লিক করে আপনি সংগ্রহ করতে পারবেন আপনার ই পাসপোর্ট।
তবে সাধারণত এটা ডাউনলোড করার প্রয়োজন নেই। কেননা আপনি যদি পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করে থাকেন অতঃপর আবেদন ফ্রি প্রদান করেন পাশাপাশি বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহের জন্য একটা অ্যাপয়েনমেন্ট নির্ধারণ করেন তাহলে নির্দিষ্ট সময় পর আপনার জেলার পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে আপনাকে আপনার ফটোগ্রাফি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে। অতঃপর আপনি আপনার ই পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারবেন ও সেটা হাতে পাওয়ার জন্য উপযুক্ত হবে।
আশা করছি আমরা যে আলোচনাটুকু করেছি এ থেকে আপনি নিজে নিজেই আপনার ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবুও যদি সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটের হোমপেজ থেকে 5 steps to e passport অপশনে ক্লিক করে এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে পারেন।
আর হ্যাঁ, অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না যে যদি ই পাসপোর্ট এর আবেদন প্রত্যাখ্যান হয় অথবা পাসপোর্ট এর ফি প্রদান করার পরও ফি প্রদানের স্ট্যাটাস আপডেট না হয় তাহলে এই সমস্যার সমাধানের জন্য কি করা যেতে পারে! জানার জন্য আলোচনার শেষ অংশটুকু চোখ বুলিয়ে নিন।
ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম PDF
ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম PDF ডাউনলোড করতে নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
প্রথমে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট পোর্টাল এ যান। এটি ই-পাসপোর্ট সম্পর্কিত সকল পরিষেবার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। এরপর ওয়েবসাইটে “Apply Now” বা “Application Form” বিভাগে ক্লিক করুন। আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য নির্ধারিত ফরমটি PDF ফরম্যাটে ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড লিঙ্কে ক্লিক করার পর ফাইলটি আপনার ডিভাইসে সংরক্ষণ হবে। ফরম ডাউনলোড করার পর সেটি ভালোভাবে পড়ুন এবং নির্দেশিকা মেনে ফরম পূরণ করুন।
আপনারা চাইলে নিচের বাটনে ক্লিক করে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম PDF ডাউনলোড করে নিতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে।
ই পাসপোর্ট এর আবেদন প্রত্যাখ্যান হলে করণীয়
যদি কোন কারনে ই পাসপোর্ট এর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয় অর্থাৎ বাতিল করা হয় তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করে এটা জানতে হবে যে নির্দিষ্ট ঠিক কোন কারণে আপনার আবেদন বাতিল করা হয়েছে। অতঃপর সেটা সমাধান খুঁজে বের করে বা সঠিক তথ্য ও নথি দিয়ে পুনরায় আবেদন কার্যপ্রক্রিয়া সম্পাদন করতে হবে।
ফি প্রদানের পর স্ট্যাটাস আপডেট না হলে করণীয় কি
আপনি ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেছেন পাশাপাশি আবেদনের ফ্রি প্রদান করেছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখনো পর্যন্ত সেই স্ট্যাটাস আপডেট হয়নি তো সেক্ষেত্রে আপনার করণীয় কাজ হচ্ছে ঘাবড়ে না গিয়ে পাসপোর্ট এর হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা এবং ফ্রি প্রদান করার সময় অবশ্যই ব্যাংক রিসিপ্ট সংরক্ষণ করে রাখা।
তো অডিয়েন্স বন্ধুরা, মূলত এই সমস্যাগুলো বাঁচার জন্য কি সমাধান তা আমরা জানিয়েছি। তবে চেষ্টা করবেন সব সময় সঠিক তথ্য ও নথি জমা দেওয়ার মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরি করার এবং খুব সাবধানতা বজায় রেখে ট্র্যাকিং নাম্বার ও পেমেন্ট রিসিট এর কাগজ সংগ্রহ করে রাখার।
আর যদি দুর্ঘটনা বশতো সেটা হারিয়ে যায় বা সমস্যার মুখে পড়তেই হয় তাহলে পাসপোর্ট এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে সরাসরি গিয়ে যোগাযোগ করবেন কিংবা হেল্পলাইন নাম্বারে কল দিয়ে বিস্তারিত খুলে বলবেন। আশা করছি আপনার সমস্যার সমাধান মিলবে অতি দ্রুত। তো সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।