Pending Backend verification মানে কি, কতদিন সময় লাগে ?

Pending Backend verification মানে কি

পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ায় ‘Pending Backend Verification’ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেখানে আবেদনকারীর প্রদত্ত তথ্য সরকারের বিভিন্ন ডাটাবেসের সাথে মিলিয়ে যাচাই করা হয়। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া, যেখানে আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক তথ্য, যেমন: ফিঙ্গারপ্রিন্ট, মুখের ছবি, আইরিশ স্ক্যান, এবং অন্যান্য ডকুমেন্টস যাচাই করা হয়।

আজকের নিবন্ধ থেকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো– Pending Backend verification মানে কি, এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি কোনো ধরনের সমস্যা কি না, আর যদি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে করণীয় কি এ-সম্পর্কে খুঁটিনাটি, চলুন বিস্তারিত জানি। 

Pending Backend verification মানে কি?

Pending Backend Verification হলো একটি যাচাই প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে আপনার দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। এই পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থা আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড, নথিপত্র, এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই করে নিশ্চিত করে যে, সেগুলো সঠিক ও নির্ভরযোগ্য কি না! 

আপনি যদি কিছুটা রিসার্চ করেন তাহলে জানতে পারবেন, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সাধারণত দুইভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ফ্রন্ট এন্ড ভেরিফিকেশন, আর আরেকটি হচ্ছে ব্যাকইন্ড ভেরিফিকেশন। 

ফ্রন্টইন্ড ভেরিফিকেশন এমন একটি প্রসেস যেটা সামনে থেকে পরিচালনা করা যায়। বলতে পারেন এটা পুলিশ ভেরিফিকেশনের অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে বেকেন্ড ভেরিফিকেশন মানে হচ্ছে সার্ভার জনিত কিছু ভেরিফিকেশন প্রসেস, যা সাধারণত খালি চোখে দেখা যায় না এবং এটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। 

দেখুন এটা আমরা সবাই জানি– আজকের ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পরিষেবায় তথ্য যাচাই প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি। এ কারণে ব্যাংক একাউন্ট বা অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ নথির জন্য আবেদন করার পর অথবা পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করার পর আমরা একটি স্ট্যাটাস দেখতে পাই, যেখানে বলা থাকে “Pending Backend verification”, 

যারা এ ব্যাপারে জানিনা তারা অনেকটাই ঘাবড়ে যাই এবং এর সমাধান কি, এর মানে কি, এমন লেখা দেখা গেলে করণীয় কি ইত্যাদি নানাবিধ প্রশ্ন মাথায় নিয়ে বসি এবং উত্তর খুঁজে বেড়াই।

তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, Pending Backend verification মানে হলো– পাসপোর্ট আবেদনে দেওয়া তথ্য, এনআইডি, ছবি ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ যাবতীয় তথ্য যাচাই-বাছাই করনের একটি ধাপ। যে ধাপ সম্পাদিত হলে পরবর্তী ধাপে ট্রান্সফার করা হবে আপনার পাসপোর্টটি। 

আপনি যদি নতুন পাসপোর্ট করেন তাহলে ধারাবাহিকভাবে দশটি ধাপ সম্পাদন করতে হয়, এবং এই প্রসেস গুলো শেষ হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়। হয়তো এগুলো সম্পর্কে জানেন, আর যদি না জেনে থাকেন তাহলে নিচের উল্লেখিত পয়েন্টগুলো দেখুন। যথা –

  • Payment verification result
  • Your application is pending payment investigation
  • Pending police approval
  • Pending for Assistant Director/Deputy Director Approval
  • Pending for Backend Verification
  • Pending for Passport Personalization
  • In Printer Queue
  • Printing Succeeded
  • QC Succeeded, Ready for Dispatch
  • Passport is Ready, Pending for Issuance

আর হ্যাঁ, এর পাশাপাশি আপনি যদি পাসপোর্ট ফি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চান তাহলে আরো জানতে পড়তে পারেন – পাঁচ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট ফি, দশ বছর মেয়াদী ই পাসপোর্ট ফি এবং পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এ সম্পর্কিত আর্টিকেলগুলো।

পাসপোর্ট বেকেন্ড ভেরিফিকেশন কিভাবে হয়? 

Pending Backend verification মানে কি

ব্যাকেন্ড ভেরিফিকেশন সাধারণত বিভিন্নভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে। পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে বা অন্য যেকোনো প্রসেস এর ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত প্রক্রিয়ায় ভেরিফিকেশন এর কাজটি সম্পাদিত হয়ে থাকে। যথা–

  • নিজস্ব স্বাক্ষর 
  • মুখের ছবি 
  • আইরিশ স্ক্যান 
  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট 
  • পুরাতন পাসপোর্ট এর তথ্য 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র 
  • আবেদন ফরমে দেওয়া তথ্য সহ প্রভৃতি। 

মানে এই ধাপটির মাধ্যমে পুনরায় যাচাই করা হয় যে আবেদনকারীর তথ্যের সঠিকতা ঠিক কতটুকু। আশা করছি, এ পর্যন্ত আমরা যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছি তার মাধ্যমে আপনি Pending Backend verification মানে কি বা এর কাজ কি এ ব্যাপারে বুঝতে পারছেন।

আরো দেখুনঃ Passport Pending in print Queue অর্থ কি?

পাসপোর্ট প্রসেসিংয়ে Pending Backend verification এর ভূমিকা 

পাসপোর্ট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, যা দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য যথাযথভাবে যাচাই করা হয়। যদি বলেন পাসপোর্ট প্রসেসিং এ Pending Backend verification এর ভূমিকা কি তাহলে বলবো, এটি পাসপোর্ট সঠিকভাবে তৈরির একটি প্রক্রিয়া মাত্র। 

কেননা এর মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ সম্পাদিত হয়। পুলিশ ভেরিফিকেশন এর কাজ সম্পাদিত হয় এবং অতিরিক্ত নিরাপত্তা পর্যালোচনা সহ চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়। 

পাসপোর্ট বেকেন্ড ভেরিফিকেশন হতে কতদিন লাগে | Pending Backend verification কতদিন সময় নিতে পারে?

পাসপোর্ট backend ভেরিফিকেশন এর জন্য সর্বোচ্চ এক থেকে তিন কর্মদিবস পর্যন্ত সময় লাগে। এর মধ্যেই সচরাচর কাজটি ভালোভাবে সম্পন্ন হয়। কিন্তু অনেক সময় সাধারণ কিছু ত্রুটির কারণে সাত কর্মদিবস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। 

কিন্তু এ নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। সাধারণত নিম্ন বর্ণিত কারণে Pending Backend verification এর প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পাদিত হতে একটু বিলম্ব হয়। যথা –

  • আবেদনকারীর তথ্যের যথার্থতা 
  • অতিরিক্ত যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা 
  • সরকারি সংস্থার ব্যস্ততা অথবা আবেদনকারীর ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশনে দেরী 
  • অতিরিক্ত আবেদন জমে থাকা অর্থাৎ অতিরিক্ত ব্যাকলগ। 

তবে যেটাই হোক না কেন, এর জন্য আপনার সর্বোচ্চ ৭ কর্ম দিবস পর্যন্ত সময় লাগবে এর বেশি নয়। এখন আসুন, এই বিষয়টি কেন্দ্র করে আরো কিছু প্রশ্ন ও সেগুলোর উত্তর সম্পর্কে জানি। তবে আপনি চাইলে এর পাশাপাশি আরও জানতে পড়তে পারেন পাসপোর্টে পেশা কি দিবেন এ সম্পর্কিত আরেকটি আর্টিকেল। 

Backend verification কেন পেন্ডিং এ পড়ে থাকে | Pending Backend verification সমস্যার কারণ 

এরই মধ্যে আমরা Backend verification পেন্ডিং এ পড়ে থাকার সাধারণ কারণগুলো সাজেস্ট করেছি। সত্যি বলতে একাধিক কারণ রয়েছে পাসপোর্ট বেঁকেন্ড ভেরিফিকেশনে আটকে থাকায়। এ পর্যায়ে কারণগুলো নিয়ে একটু বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো। 

তথ্যের অসঙ্গতি: আবেদনপত্রের তথ্য এবং জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন বা অন্যান্য নথিপত্রের মধ্যে পার্থক্য থাকলে, পাসপোর্ট কিংবা ব্যাংক একাউন্টের বিষয় নিয়ে পূরণকৃত তথ্যগুলো পূর্ববর্তী রেকর্ডের সঙ্গে না মিললে অথবা বানানে ভুল থাকলে পাসপোর্ট Pending Backend verification প্রসেসে আটকে থাকে ।

প্রয়োজনীয় নথিপত্রের ঘাটতি: আমরা সবাই জানি পাসপোর্ট তৈরির জন্য নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন পড়ে। তাই আবেদন করার সময় আবেদনপত্রের সঙ্গে সকল প্রয়োজনীয় কাগজ সংযুক্ত না করা হলে কিংবা অনলাইনে আবেদন করার সময় স্ক্যান করা কাগজগুলো পরিষ্কার না বুঝা গেলে বা কোন ভুল থাকলে কখনো কখনো এই কারণ কে কেন্দ্র করেও Pending Backend verification প্রসেসিং এ পাসপোর্ট আটকে থাকে। 

পুলিশ ভেরিফিকেশনে বিলম্ব: ইতিমধ্যে এটা আমরা উল্লেখ করেছি পাসপোর্ট এর ভেরিফিকেশন সাধারণত দুইভাবে সম্পাদিত হয়। এর মধ্যে ফ্রন্ট এন্ড ভেরিফিকেশন হলো পুলিশ ভেরিফিকেশন, যা আমরা দেখতে পাই। আর এই process সম্পাদিত হলে পরবর্তীতে backend ভেরিফিকেশনের জন্য পর্যালোচনা করা হয় আর তখন যদি পুলিশ ভেরিফিকেশনেই বিলম্ব হয় তাহলেও পাসপোর্ট Pending Backend verification প্রসেস এ আটকে থাকে অর্থাৎ এটি Pending Backend verification সমস্যার আরেকটি কারণ। 

অতিরিক্ত নিরাপত্তা যাচাই: পাসপোর্ট এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমরা জানি। কেননা এটি বাইরের দেশে বৈধ ভাবে থাকার জন্য আমাদেরকে সাপোর্ট দিয়ে থাকে। তাই এটা তৈরীর প্রক্রিয়াটা কিছুটা কঠোর হয়। অতিরিক্ত নিরাপত্তা যাচাইয়ের জন্য আবেদনকারীর অতীত রেকর্ডে কোন সন্দেহজনক তথ্য পাওয়া গেলে, কিংবা বিদেশের যাত্রা বা অন্য কোন কারণে নিরাপত্তা জনিত যাচাই এর প্রয়োজন হলে Pending Backend verification এ সময় লাগে। 

প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণ: কখনো কখনো অনলাইন ডাটাবেজে তথ্য মিলিয়ে দেখার সময় যদি কোন প্রযুক্তিগত সমস্যা হয় মানে সার্ভার সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয় তাহলেও Pending Backend verification বিলম্ব হয় অর্থাৎ পেন্ডিংয়ে পড়ে থাকে এই প্রসেসিং প্রক্রিয়া।

সরকারি দপ্তরের ব্যাংকলগ: অনেক আবেদন জমা থাকলে বা সরকারের সংস্থার কর্মচারীর সংখ্যা কম থাকলে কখনো কখনো Pending Backend verification এ সময় লাগতে পারে। তাই ঘাবড়ে না গিয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। আর যদি একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরেও আপনার পাসপোর্ট পেন্ডিং ব্যাকেন্ট ভেরিফিকেশন সমস্যায় আটকে থাকে তাহলে সমস্যার সমাধান হিসেবে নিচের কাজগুলো করুন, যা আপনাকে দ্রুত পাসপোর্ট Pending Backend verification প্রক্রিয়া সম্পাদনে সাহায্য করবে।

Passport Pending Backend verification সমস্যার সমাধান | Pending Backend verification এ সমস্যা হলে করণীয় 

Passport Pending Backend verification সমস্যা দীর্ঘদিন চলমান থাকলে আপনার করণীয় হবে 

  • স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করা 
  • অনলাইনে অভিযোগ করা বা হেল্পলাইনে কল করে বিস্তারিত জানানো 
  • সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশন বা কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে আলাপচারিতা করা। 
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক করা 
  • অনলাইন ট্রাকিং চেক করুন এবং যদি কোন বিশেষ কারণ থাকে তার সংশোধনের চেষ্টা করা। 

আর হ্যাঁ, এই ধরনের ত্রুটি থাকলে কখনো কখনো আপনার Pending Backend Verification প্রসেস সম্পাদনের জন্য নতুন পাসওয়ার্ড এর ক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে ১৫ থেকে ৩০ দিন আর জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য সময় লাগতে পারে ৭ থেকে ১৫ দিন। তাই ধৈর্য ধরে এবং আমাদের দেওয়া পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করুন। আশা করছি আপনার এই পেন্ডিং ভেরিফিকেশন সমস্যার সমাধান মিলবে।

Pending Backend Verification-এর বর্তমান অবস্থা চেক এর উপায় 

আপনার পাসপোর্ট Pending Backend Verification এ আটকে রয়েছে, বা এটি সম্পাদিত হয়েছে কিনা এটি জানবেন কিভাবে? মানে পেন্ডিং ব্যান্ডেন্ট ভেরিফিকেশনের বর্তমান অবস্থা চেক করার উপায় কি? সাধারণত একাধিক উপায় রয়েছে। এগুলো হলো 

  • অ্যাপ 
  • ওয়েবসাইট 
  • ইমেইল 

অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট: যদি আপনি Pending Backend Verification চেক করতে চান তাহলে যে প্ল্যাটফর্ম বা সার্ভিসে ভেরিফিকেশন চলছে তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল অ্যাপে সবার প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করুন অতঃপর লগইন করে আপনি চেক করে নিন বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে। সাধারণত “my account” অপশনে যাওয়ার পর সিলেক্ট করতে হবে ভেরিফিকেশন স্ট্যাটাস বা KYC Status অপশন, অতঃপর সেখানে আপনি দেখতে পাবেন আপনার পেন্ডিং ভেরিফিকেশন এর বর্তমান অবস্থা। 

ইমেইল বা এসএমএস নোটিফিকেশন: আপনি যে ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করেছেন আবেদনের সময় যদি মেইল দিয়ে থাকেন অথবা মোবাইল নম্বর দিয়ে থাকেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে ওই সকল প্লাটফর্ম থেকে ইমেইল বা এসএমএস পাঠানো হয়। যেগুলো ফলো করলে আপনি আপডেট জানতে পারবেন। এগুলো অনেক সময় ইমেইলে স্প্যাম ফোল্ডারে জমা হয়ে থাকে তাই সেখান থেকে চেক করুন।

কাস্টমার সাপোর্টে যোগাযোগ: পেন্ডিং bakend ভেরিফিকেশন এর বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করার জন্য যদি অনলাইনে উপরের দুইটি ধাপ অনুসরণ করেও কোন তথ্য না পান তাহলে কাস্টমার সাপোর্টে কল করে অথবা লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে তা জানতে পারেন। 

তো বন্ধুরা, Pending Backend verification মানে কি এবং এই সমস্যার সমাধান কি এ সম্পর্কে আমরা জেনেছি। এখন আলোচনার শেষ পর্যায়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নগুলো এক নজরে দেখে চলুন আজকের আলোচনার সমাপ্তি টানি। 

১. Pending Backend Verification মানে কি?

➡ এটি একটি যাচাই প্রক্রিয়া যেখানে সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা আপনার তথ্য পুনরায় যাচাই করে।

২. পাসপোর্টের জন্য এটি কতদিন স্থায়ী হয়?

➡ সাধারণত ২-৭দিন লাগে, তবে বিভিন্ন কারণে এটি দীর্ঘ হতে পারে।

৩. Pending Backend Verification আটকে থাকলে কী করব?

➡ স্থানীয় অফিসে যোগাযোগ করুন, অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করুন এবং প্রয়োজনে অভিযোগ করবেন যদি পেন্ডিং ব্যাকেন্ট ভেরিফিকেশন আটকে থাকে। 

৪. Pending Backend Verification এ কেন এত সময় লাগে?

➡ তথ্য অসঙ্গতি, অতিরিক্ত যাচাই বা ব্যাকলগের কারণে বেশি সময় লাগতে পারে, যেগুলোর ব্যাখ্যা ইতোমধ্যে আমরা আর্টিকেলের সংযুক্ত করেছি।

৫. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে কি Pending Backend Verification লাগে?

➡ হ্যাঁ, KYC ভেরিফিকেশনের জন্য এটি অনেক সময় প্রয়োজন হয়। পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই পেন্ডিং backend ভেরিফিকেশন লাগে। 

আমাদের শেষ কথা: তো পাঠক বন্ধুরা, যেহেতু Pending Backend Verification একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া যা আমাদের তথ্য যাচাই করতে সাহায্য করে। যদিও এটি মাঝে মাঝে দীর্ঘায়িত হতে পারে, তবে সঠিক তথ্য প্রদান ও সচেতন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা দ্রুত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারি। এজন্য ধৈর্য ধরুন এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে উক্ত সমস্যার সমাধান করে নিন। আর যদি এ পাশাপাশি আরো কোন প্রশ্ন থাকে আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

About Author

Setu Rani
Setu Rani is a professional blogger with expertise in passport and visa information. With a passion for travel, she shares insightful guides on international visa processes, passport services, and travel experiences. Her in-depth knowledge helps travelers navigate complex documentation with ease. When she's not writing, Setu explores new destinations and documents her journeys to inspire others.
Pending Backend verification মানে কি
FAQ

Pending Backend verification মানে কি, কতদিন সময় লাগে ?

পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ায় ‘Pending Backend Verification’ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যেখানে আবেদনকারীর প্রদত্ত তথ্য সরকারের বিভিন্ন...

পাসপোর্টে পেশা কি দিব?
FAQ

পাসপোর্টে পেশা কি দিব? প্রশ্নের উত্তর জানুন

আপনি যখন নতুন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করছেন বা পুরনো পাসপোর্ট রিনিউ করছেন, তখন একটি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *