অনলাইনে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে রোমানিয়া ভিসার স্ট্যাটাস খুব সহজেই চেক করা যায়। এর জন্য শুধুমাত্র আপনার পাসপোর্ট নম্বর এবং ভিসা আবেদন করার সময় প্রাপ্ত-৯ সংখ্যার স্টিকার নম্বর প্রয়োজন হবে।
তো পাঠক বন্ধুরা, ইউরোপের রোমানিয়া দেশে যাওয়ার জন্য যদি আপনি ইতিমধ্যে ভিসা ও পাসপোর্ট করে থাকেন তাহলে কিভাবে শুধুমাত্র পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে রোমানিয়া ভিসা চেক করবেন তা জেনে নিন।
কেননা আজকের আর্টিকেলে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে রোমানিয়া ভিসা চেক করুন মাত্র ১ মিনিটে এমন একটি শর্টকাট মাধ্যম জানাবো। তবে আপনি চাইলে এর পাশাপাশি আরও জানতে দেখতে পারেন পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম সম্পর্কিত আরেকটা আর্টিকেল।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে রোমানিয়া ভিসা চেক
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল ভিসা চেক করার জন্য আপনাকে সরাসরি ভিজিট করতে হবে eviza.mae.ro/CheckVisaSticker এই লিংকে। অতঃপর এখানে শুধুমাত্র আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এবং স্টিকার নাম্বার সঠিকভাবে বসিয়ে চেক আউট করলেই পেয়ে যাবেন রোমানিয়া ভিসার স্ট্যাটাস।
তবে আপনি যেন মাত্র এক মিনিটে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে রোমানিয়া ভিসা চেক করতে পারেন এর জন্য আমরা বোঝার সুবিধার্থে নিচে ছবি ও কার্য-পদ্ধতি খুব সহজভাবে সংযুক্ত করছি।
তবে এর পাশাপাশি আজকের নিবন্ধে আমরা আরো আলোচনা করব- রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট স্ট্যাটাস চেক এর নিয়ম, রোমানিয়া ভিসা চেক করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, রোমানিয়া ভিসা চেক এবং ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ফি ও ভিসা চেক করা কেন প্রয়োজন এই সম্পর্কিত আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে, যেগুলো জেনে রাখা জরুরী। তাই আসুন বিস্তারিত জানতে মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ি।
আরো দেখুনঃ ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট ফি কত টাকা?
রোমানিয়া ভিসা চেক এর নিয়ম ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
রোমানিয়া ভিসা চেক করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হিসেবে প্রয়োজন পড়ে পাসপোর্ট এর। তবে আপনার কাছে পাসপোর্ট না থাকলেও চলবে যদি আপনি পাসপোর্ট নাম্বার এবং ভিসা করার সময় যে নয় সংখ্যার স্টিকার নম্বর দেওয়া থাকে তা মনে রাখতে পারেন। আর যদি আপনি অন্য কারো রোমানিয়া ভিসার বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করতে চান সে ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে ডকুমেন্টের পরিবর্তে পাসপোর্ট নাম্বার এবং ট্রিকার নাম্বার সংগ্রহ করে সরাসরি সাজেস্টকৃত ওয়েবসাইটে গিয়ে নিম্ন বর্ণিত নিয়মে চেক করতে পারবেন ভিসার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে। এজন্য ধারাবাহিকতা বজায় রেখে–
প্রথমত: আপনার মোবাইল অথবা ল্যাপটপে ইন্টারনেট কানেকশন অন করুন।
দ্বিতীয়ত: গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ করুন eviza.mae.ro/CheckVisaSticker লিখে, অথবা সাজেস্কৃত লিঙ্কে সরাসরি ক্লিক করে উক্ত ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
তৃতীয়ত: শূন্যস্থান পূরণ করুন। মানে আপনার স্টিকার নম্বর ও পাসপোর্ট নম্বর সঠিকভাবে বসান।
চতুর্থত: প্রথম করে স্টিকার নম্বর এবং দ্বিতীয় ঘরে পাসপোর্ট নম্বর বসানো শেষ হলে ক্লিক করুন (check your visa sticker) এই অপশনে।
ব্যাস এতোটুকুই, কিছু সময় নিয়ে প্রসেসিং কার্যপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই আপনার সামনে তুলে ধরা হবে আপনার ভিসার বর্তমান অবস্থা। মানে আপনি যে রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করেছেন এবং সেই ভিসা এখনো পর্যন্ত রেডি হয়েছে কিনা তা জানতে পারবেন।
তবে হ্যাঁ, এ পর্যায়ে আমি আমার নিজস্ব পাসওয়ার্ড এবং স্লিপ নম্বর আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি না, শুধুমাত্র জানিয়ে দেওয়া নিয়মে ট্রাই করুন আশা করছি কোন রকম সমস্যা ছাড়াই আপনি রোমানিয়া ভিসা চেক করতে পারবেন। আর যদি কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে কমেন্ট করে জানান।
তবে আমরা বলব- যদি আপনি আপনার ভিসার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে না পারেন তাহলে পুনরায় চেষ্টা করবেন, কেননা সার্ভারের সমস্যার কারণে কখনো কখনো এরর আসতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে অটোমেটিক্যালি ঠিক হয়ে যায়।
E Passport Check Online
রোমানিয়া ভিসার ফি
রোমানিয়া ভিসা ফ্রি কত টাকা এটি ভিসার ধরন এবং মেয়াদের উপর নির্ভর করে কমবেশি হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি ভিজিট ভিসা করেন সেক্ষেত্রে সর্বমোট খরচ করে 8000 থেকে 12000 টাকা। অন্যদিকে যদি কাজের জন্য ভিসা করে থাকেন সেক্ষেত্রে কাজের ভিসা হিসেবে খরচ পড়ে 15000 থেকে শুরু করে 20000 টাকা। একইভাবে স্টুডেন্ট ভিসা করতে চাইলে সে ক্ষেত্রে খরচ পরে 10000 থেকে 15000 টাকা। ভিসা করার জন্য ভিসার ফ্রি এর সাথে খরচ হিসেবে আরো যুক্ত হতে পারে প্রসেসিং ফি,, অন্যান্য ডকুমেন্টের খরচ এবং স্বাস্থ্য বীমা খরচ সহ প্রভৃতি।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক এর নিয়ম
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক করার জন্য মূলত এই একই নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এর জন্য সরাসরি আপনাকে ভিজিট করতে হবে https://eviza.mae.ro/CheckVisaSticker ওয়েবসাইটে। অতঃপর প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন পূরণ করে আপনি যদি চেক আউট অপশনে ক্লিক করেন তাহলে রোমানিয়া ওয়ার্ড পারমিট ভিসা চেক করতে পারবেন। আর হ্যাঁ, অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ভিসা চেক করা কেন প্রয়োজন? এ প্রশ্নের উত্তরটি আপনি নিজেই পেয়ে যাবেন যদি জানেন ভিসার প্রয়োজনীয়তা।
কেননা আপনি কোন একটা দেশে যাওয়ার অনুমোদন পাচ্ছেন ভিসার মাধ্যমে। তাই আপনার ভিসা ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা ভিসা চেক করার মাধ্যমে জানতে পারবেন। যেমন আপনি রোমানিয়া দেশে যাচ্ছেন তাই আপনার সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে এবং আপনার রোমানিয়া দেশে যদি ভিসা অনুমোদন পায় তবে না আপনার ভিসা চেক করে আপনি তা জানতে পারবেন! কি কি কারণে ভিসা চেক করা জরুরী।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, রোমানিয়া ভিসা পেতে মোটামুটি কত দিন সময় লাগতে পারে! সত্যি বলতে এটা ভিসার ধরন অনুযায়ী কমবেশি হয়ে থাকে। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিন মাস এবং সর্বোচ্চ চার মাস সময় লাগতে পারে। অতঃপর শুধুমাত্র এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনি রোমানিয়া চলে যেতে পারবেন। মানে ভিসা পাওয়ার পর ওই দেশে যেতে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন পড়ে না বা অনেক বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় না।
জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট স্ট্যাটাস চেক করতে কোথায় যেতে হবে?
✓ রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট স্ট্যাটাস চেক করতে আপনাকে রোমানিয়া দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। যে সাইটের লিংক ইতিমধ্যে আমরা শেয়ার করেছি।
রোমানিয়া ভিসা চেক করার জন্য কি কি প্রয়োজন পড়ে?
✓ রোমানিয়া ভিসা চেক করার জন্য শুধুমাত্র দুইটি নম্বরের প্রয়োজন পড়ে। একটি হচ্ছে স্পিকার নাম্বার এবং আরেকটি হচ্ছে পাসপোর্ট নাম্বার।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট স্ট্যাটাস খুব সহজে কিভাবে চেক করা যায়?
✓ রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট স্ট্যাটাস খুব সহজেই অনলাইন এর মাধ্যমে স্টিকার নাম্বার ও পাসপোর্ট নাম্বার রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে অনুসন্ধান করার মাধ্যমে চেক করা যায়।
রোমানিয়ার জন্য কোন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়?
✓ রোমানিয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা সংগ্রহ করা যায়। যেমন–
- শর্ট-স্টে ভিসা (C-ভিসা): ট্যুরিস্ট, বিজনেস, কনফারেন্স, ফ্যামিলি ভিজিট ইত্যাদির জন্য যেগুলো ব্যবহার্য।
- লং-স্টে ভিসা (D-ভিসা): স্টাডি, ওয়ার্ক, ব্যবসা বা পরিবার পুনর্মিলনের জন্য যেগুলো ব্যবহার্য।
- ট্রানজিট ভিসা (A/B-ভিসা): রোমানিয়ার মধ্য দিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য যেগুলো ব্যবহার্য।
রোমানিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া কি?
✓ রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া হল সবার প্রথমে অনলাইনে নিবন্ধন করা। এর জন্য আপনাকে ভিজিট করতে হবে eVisa Portal এ, অতঃপর সেখানে আপনি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে ফ্রি পরিশোধ করে এবং ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কয়েকটি প্রসেসিং সম্পন্ন করার মাধ্যমে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
রোমানিয়া ভিসার প্রসেসিং সময় কত দিন?
✓ রোমানিয়া ভিসার প্রসেসিং সময় সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় না তবে ১০ থেকে ৩০ কার্য দিবস সময় লেগে থাকে সাধারণত। কখনো কখনো এর থেকে বেশি সময়ও লেগে যায়।
রোমানিয়া কি বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ফ্রি?
✓ না একদমই না। বাংলাদেশীদের জন্য রোমানিয়ার ভিসা বাধ্যতামূলক। তাই আপনি যদি পাসপোর্ট করে থাকেন তাহলে রোমানিয়া দেশে যাওয়ার পূর্বে ভিসার জন্য এপ্লাই করুন অতঃপর পাড়ি জমান বৈধ প্রক্রিয়ায় সেই দেশে।
পরিশেষে: তো পাঠক বন্ধুরা, এই ছিল পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে রোমানিয়া ভিসা চেক এর বিষয় সম্পর্কিত আমাদের আজকের আলোচনা। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং পাসপোর্ট সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যার সমাধান পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। সবশেষে সবাইকে জানাই আল্লাহ হাফেজ।