পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম

পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম

আপনি শারীরিকভাবে ফিট রয়েছেন কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য মেডিকেল রিপোর্ট চাওয়া হয়ে থাকে ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে। আর তাই যারা বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তারা সুনির্দিষ্ট এই নিয়ম মানতে পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম ও কার্যকরী পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান। 

আজকের নিবন্ধে আমরা পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম ও সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি, বিদেশে যাওয়ার জন্য মেডিকেল চেক আপ কেনো জরুরী এবং মেডিকেল রিপোর্ট পরীক্ষা করার জন্য বাংলাদেশের স্বনামধন্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার কোনগুলো সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য তুলে ধরব। আসুন জেনে নেওয়া যাক- পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার বিষয়ে খুঁটিনাটি।

 

আরও দেখুনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক

পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম

পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম খুবই সহজ। এজন্য সরাসরি আপনাকে একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে অতঃপর আপনার পাসপোর্ট নাম্বার অথবা স্লিপ নাম্বার বসিয়ে ক্লিক করতে হবে নেক্সট বাটনে। ব্যাস সঙ্গে সঙ্গে আপনার সামনে তুলে ধরা হবে আপনার সম্প্রতি সময়ের মেডিকেল রিপোর্ট।

মেডিকেল রিপোর্ট কোথায় চেক করবেন? 

যারা পাসপোর্ট এবং ভিসা সম্পর্কিত বিষয়ে খুবই অল্প জানেন তাদের কাছে পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার বিষয়টি অনেক বেশি জটিল মনে হয়। তাই বুঝে উঠতে পারেন না, ঠিক কোন ওয়েবসাইট বা কোন সার্ভারে গিয়ে এই রিপোর্ট আপনি সরাসরি চেক করতে পারবেন। 

সাধারণত আরবিক অঞ্চল অর্থাৎ মিনা অঞ্চলে ভ্রমণ করতে চাইলে আপনি মেডিকেল রিপোর্ট যাচাই করার জন্য একদিন ভিন্ন সার্ভারের সাহায্য নিতে পারবেন। কেননা প্রতিটি দেশে আলাদা আলাদা মেডিকেল রিপোর্ট দেখার জন্য ভিন্ন ওয়েবসাইটের ব্যবস্থাপনা রয়েছে। 

তাই যদি আপনি সৌদিতে যান, তাহলে সৌদির সুনির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে হবে আবার যদি মালয়েশিয়া বা কাতারে যান সে ক্ষেত্রে আলাদা ওয়েবসাইট বা সার্ভার থেকে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন। এজন্য সুনির্দিষ্ট ওই দেশের ওয়েবসাইট অনুসন্ধান করতে হবে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে। 

পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম

এছাড়াও মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য অন্য একটি মাধ্যম রয়েছে। তাহলো এজেন্সি। সাধারণত আপনি আপনার নিজ দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশে বসেও ওই এজেন্সির সহযোগিতায় মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন। অতএব বাইরের দেশে যাওয়ার জন্য আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশে মেডিকেল কিংবা ডায়াগনস্টিক এর মাধ্যমে আপনার মেডিকেল পরীক্ষা ইতোমধ্যে দিয়েছেন কিংবা মেডিকেলের ওয়েবসাইটে গিয়ে চেক করতে পারবেন আপনার সম্প্রতি সময়ের রিপোর্ট। 

বাংলাদেশে সাধারণত কি কি জনপ্রিয় ডায়গনস্টিক রয়েছে তাদের নাম আমরা উল্লেখ করব। তার আগে স্লিপ নাম্বার ও পাসপোর্ট এর পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি জানুন। 

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে অথবা স্লিপ নাম্বার দিয়ে মূলত একই ওয়েবসাইটে গিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করা যায়। পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার সহজ মাধ্যম জানতে নিচের ইনস্ট্রাকশন ফলো করুন। 

প্রথমত: ভিজিট করুন wafid.com ওয়েবসাইট। তাহলেই সরাসরি এই লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনি উক্ত ওয়েবসাইটে যেতে পারেন। অথবা গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ করতে পারেন মেডিকেল রিপোর্ট চেক ওয়েবসাইট বা wafid ডটকম এমন কিছু লিখে। 

দ্বিতীয়ত: ওয়েব সাইটে প্রবেশের পর সিলেক্ট করুন By passport number এই অপশনটি। 

পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম

তৃতীয়ত: পূরণ করুন শূন্যস্থান। মানে পাসপোর্ট নাম্বার এবং ন্যাশনালিটি কী তা নির্বাচন করুন। ঠিক নিম্নে উল্লেখিত ছবিরমতন। 

পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম

চতুর্থত: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ক্লিক করুন (check) বাটনে। আর হ্যাঁ কখনো কখনো এই সময় ক্যাপচা পূরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আবার কখনো সরাসরি চেক বাটনে ক্লিক করে দেখে নেওয়া যায় মেডিকেল রিপোর্ট। 

পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম

ব্যাস শুধুমাত্র এই চারটা ধাপ পর্যায়ক্রমে মানলেই আপনি পাসওয়ার্ড নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন। তবে কখনো কখনো ওয়েবসাইটের সার্ভারের সমস্যার কারণে এরোর দেখা দিতে পারে। তাই পুনরায় চেষ্টা করুন। আর অবশ্যই ইনফরমেশন গুলো সঠিকভাবে উল্লেখ করবেন। মূলত এ পর্যায়ে নিরাপত্তা বা পার্সোনালিটির কথা চিন্তা করে আমরা আমাদের পাওয়া মেডিকেল রিপোর্টটি এখানে সংযুক্ত করছি না। যদি কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে কমেন্ট করতে পারেন। স্লিপ নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার বিষয়ে জানি। 

আরও দেখুনঃ16445 পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

স্লীপ নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম

স্লিপ নাম্বার এবং রি ক্যাপচা সব করার মাধ্যমে এই একই ওয়েবসাইট থেকে মূলত একই নিয়ম ফলো করে আপনি আপনার মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন। এর জন্য শুধুমাত্র আপনাকে দ্বিতীয় অপশন সিলেক্ট করতে হবে। বোঝার সুবিধার্থে নিচে আমরা স্ক্রিনশট আকারে বিষয়টি তুলে ধরছি। তাই যদি আপনার পাসপোর্ট নাম্বার কাছে না থাকে বা মনে না থাকে সেক্ষেত্রে এই একই ওয়েবসাইটে গিয়ে আমি আপনার মেডিকেল এক্সামিনেশন রেজাল্ট জেনে নিতে পারবেন। 

প্রথমত: ভিজিট করুন wafid.com ওয়েবসাইট। তাহলেই সরাসরি এই লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনি উক্ত ওয়েবসাইটে যেতে পারেন। অথবা গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে সার্চ করতে পারেন মেডিকেল রিপোর্ট চেক ওয়েবসাইট বা wafid ডটকম এমন কিছু লিখে। 

দ্বিতীয়ত: ওয়েব সাইটে প্রবেশের পর সিলেক্ট করুন Wafid Slip number এই অপশনটি। 

পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম

তৃতীয়ত: শূন্যস্থান পূরণ করুন মানে GCC স্লিপ নাম্বার বসিয়ে দিন সঠিকভাবে। 

পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম

চতুর্থত: ক্লিক করুন চেক অপশনে। ব্যাস এতটুকুই। আমি আপনার মেডিকেল এক্সামিনেশন রেজাল্ট বা মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে পারবেন সঙ্গে সঙ্গে। 

পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম

পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার সহজ পরামর্শ 

বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট অনলাইনে পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করে আপনি কিভাবে চেক করবেন এ ব্যাপারে জেনেছেন। তবে সাধারণত মেডিকেল রিপোর্ট চেক করা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জন্য খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া। এর জন্য ধারাবাহিকভাবে 

  • প্রথমত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে ইন্টারনেট ব্রাউজার থেকে। 
  • পরবর্তী ধাপে মেডিকেল রিপোর্ট দেখার অপশন নির্বাচন করতে হবে। আপনি যে ওয়েব সাইটে যাবেন সেখানে গেলে আপনাকে মেডিকেল এক্সামিনেশন মেনু সাজেস্ট করা হবে আর সেখানে গিয়ে ভিউ মেডিকেল রিপোর্ট অথবা এ ধরনের অন্য কোন লেখা দেখতে পাবেন। যা সিলেক্ট করার পরবর্তীতে আপনাকে প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন প্রদান করতে হবে। 
  • মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার জন্য সচরাচর পাসপোর্ট নাম্বার, ন্যাশনালিটি এবং প্রদত্ত ক্যাপচা কোড সঠিকভাবে পূরণ করতে হয়। 
  • এরপর শুধুমাত্র চেক বাটনে ক্লিক করে রিপোর্ট চেক করতে পারবেন। ব্যাস এতটুকুই। 

আর হ্যাঁ, গুরুত্বপূর্ণ আরো কিছু বিষয় হচ্ছে– মেডিকেল রিপোর্ট সাধারণত পরীক্ষা দেওয়ার সাত দিনের পরে অনলাইনে আসে। অতএব আপনি যদি পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে চান তাহলে মেডিকেল রিপোর্টের পরীক্ষা দেওয়ার ঠিক ৭ দিন পরে অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করবেন।

আর যদি রিপোর্ট চেক করতে কোন সমস্যা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশের ইমিগ্রেশন করতে পক্ষের সাথে যোগাযোগ করবেন। মনে রাখবেন পাসপোর্ট তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই ভুলেও অনলাইনে শেয়ার করার বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। শুধুমাত্র বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট বা নির্দিষ্ট কোন সিকিউর জায়গাতে আপনি আপনার পাসপোর্ট নম্বর প্রদান করতে পারবেন নির্ভয়ে। 

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক এর প্রয়োজনীয়তা 

বিদেশ যাওয়ার জন্য অর্থাৎ নিজের দেশ থেকে যখন আপনি বাহিরে যাবেন তখন মেডিকেল চেকআপ এর বিষয়টি অনেক জরুরী ভাবে নিশ্চয় তার ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হয়। কেননা আপনি শারীরিকভাবে সক্ষম কিনা এবং আপনার শরীরে অন্য কোন সংক্রমণ রোগের উপস্থিতি রয়েছে কিনা এটা চিকিৎসার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া খুবই প্রয়োজনীয় একটি কাজ।

এজন্যই ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার সময় বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এর সঙ্গে জমা দিতে হয় মেডিকেল রিপোর্ট চেক এর প্রমাণপত্র। যে রিপোর্ট দেখার মাধ্যমে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে আপনি বাইরের দেশে যাওয়ার জন্য ফিট রয়েছেন নাকি আনফিট।

যদি বলেন পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক এর প্রয়োজনীয়তা কি, তাহলে বলবো এটা শুধুমাত্র আপনার জানার প্রয়োজনীয়তা মিটায়। কেননা ভিসা করার জন্য মেডিকেল রিপোর্ট করতে হয় আপনাকে, আর মেডিকেল রিপোর্টের জন্য পরীক্ষা দেওয়ার ঠিক সাতদিনের মাথায় এটি অনলাইনে অনুসন্ধান করে সংগ্রহ করা যায়, অতএব আপনার প্রয়োজন এর জন্য বা আপনার রিপোর্টে কি এসেছে আপনি ফিট রয়েছেন কিনা এটা জানার জন্যই মূলত পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করতে হয়।

সাধারণত একটি সঠিক মেডিকেল রিপোর্ট বিদেশগামীদের জন্য আবশ্যিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করে। ভিসা প্রসেসিং সহজতর করতে সহযোগিতা করে। মেডিকেল পরীক্ষার বৈধতা যাচাই এ সাহায্য করে এবং বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রবেশের অনুমোদন প্রদান করে থাকে।

এছাড়াও বিদেশে চাকরির সুযোগ নিশ্চিত করতেও কাজে আসে এই মেডিকেল রিপোর্ট। আসুন জেনে নেই আপনি বাংলাদেশের সাধারণত বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে ঠিক কোন কোন স্বনামধন্য ডায়াগনস্টিক থেকে মেডিকেল রিপোর্ট জনিত পরীক্ষাগুলো দিতে পারবেন! 

মেডিকেল রিপোর্ট পরীক্ষা করার জন্য স্বনামধন্য কিছু ডায়াগনস্টিক 

  • রাজধানী ডিজিটাল মেডিকেল সার্ভিস
  • আল হামাদ মেডিকেল
  • আল হুমায়রা মেডিকেল
  • পারফেক্ট মেডিকেয়ার লিমিটেড
  • সিলমুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার
  • ক্যাথার্সিস মেডিকেল
  • মীম মেডিকেল সেন্টার
  • নোভা মেডিকেল
  • মেডিসন মেডিকেল

এখন আসুন আলোচনার শেষ পর্যায়ে মেডিকেল রিপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু প্রশ্ন ও সেগুলোর উত্তর জানার মাধ্যমে আজকের আলোচনার সমাপ্তি টানা যাক। তবে আপনি যদি এর পাশাপাশি পাসপোর্ট অনলাইন কপি ডাউনলোড করার নিয়ম, নবজাত শিশুর ই পাসপোর্ট করার নিয়ম, ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পিডিএফ সংক্রান্ত বিষয় এবং পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এ ব্যাপারে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অন্যান্য আরো কিছু আর্টিকেল অনুসন্ধান করে পড়ুন। যেগুলো আপনাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে পাবলিশ করা হয়েছে। আর পাসপোর্ট সংক্রান্ত যেকোনো আপডেট পেতে যেকোনো সমস্যার সমাধান খুঁজতে চোখ রাখুন ই-পাসপোর্ট চেক অনলাইন ওয়েবসাইটে। 

মেডিকেল রিপোর্টে কি কি চেক করা হয় মেডিকেল রিপোর্ট চেক Fit এবং Unfit কি? 

✓ বিদেশ যাওয়ার জন্য মানে নিজ দেশ থেকে যখন আপনি অন্য দেশে পাড়ি জমাবেন তখন মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বলা যায় এটি একটি শর্ত। যেটা আপনাকে পূরণ করতে হবে ভিসা ও পাসপোর্ট এর জন্য। আর মেডিক্যাল রিপোর্ট চেক করার সময় সাধারণত নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলো করা হয়ে থাকে। সেগুলো হলো–

  • বুকের এক্সরে 
  • ইমিউনাইজেশন স্ট্যাটাস চেক 
  • মূত্র পরীক্ষা রক্ত পরীক্ষা এবং 
  • শারীরিক পরীক্ষা 

যখন এই প্রত্যেকটি পরীক্ষা করার পর আপনি সম্পূর্ণভাবে ফিট থাকবেন মানে আপনার কোন ধরনের সমস্যা থাকবে না সবকিছু নরমাল থাকবে তখন আপনাকে মেডিকেল রিপোর্টে সিলেক্টেড ব্যতি হিসেবে অর্থাৎ ফিট হিসেবে অনুমোদন করা হবে। আর যদি আপনার শারীরিক ত্রুটি থেকে থাকে এবং রিপোর্ট নেগেটিভ আসে সেক্ষেত্রে আনফিট হিসেবে বিবেচনা করা হবে। যে কারণে আপনি দেশের বাহিরে যেতে পারবেন না। 

মেডিকেল রিপোর্ট আনফিট হয় কি কি জটিলতার কারণে? 

সাধারণত হেপাটাইটিস বি, এইচআইভি, চর্মরোগ, জন্ডিস, হূদরোগ, শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি, গর্ভবতী মহিলা হলে ( দেশের উপর নির্ভর করে) এবং কাঙ্খিত দেশের নিয়মের ক্ষেত্রে শরিরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ত্রুটি দেখা দিলে ( সব দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) ওই সকল ব্যক্তিদের মেডিকেল রিপোর্ট আনফিট বলে বিবেচনা করা হয়। আর যদি রিপোর্ট হয় তাহলে তারা ভিসার জন্য এপ্লাই করতে পারেন না। 

পরীক্ষা দেওয়ার কতদিন পরে মেডিকেল রিপোর্ট আসতে পারে? 

পরীক্ষা দেওয়ার পরবর্তী সময় সাধারণত এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ঠিক সাত দিন পরে অনলাইনে এই মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করা যায়। তবে কোনো সমস্যার কারণে এর থেকে বেশি সময় লাগতে পারে। 

মেডিকেল রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে পুনরায় কত দিন পর আবার পরীক্ষা দিতে পারব? 

যদি কোন শারীরিক ত্রুটির কারণে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট নেগেটিভ আছে তাহলে আপনাকে সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পরবর্তীতে ভিসা আবেদনের পূর্বে স্থানীয় কোন মেডিকেল সেন্টার থেকে মেডিক্যাল পরীক্ষা দিয়ে আপনাকে পুনরায় পরীক্ষা দিতে হবে। অতঃপর আপনি যদি ফিট হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পান তাহলে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট ফিট হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। 

মেডিকেল রিপোর্ট এর মেয়াদ কত দিন পর্যন্ত থাকে? 

মেডিকেল রিপোর্ট বের হওয়ার সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে আপনি যে কাজের জন্য মেডিকেল রিপোর্ট তৈরি করেছেন সেই কাজটি করে নিতে পারবেন। অতএব মেডিকেল রিপোর্টের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিন অর্থাৎ তিন মাস পর্যন্ত চলমান থাকবে। 

পরিশেষে: তো অডিয়েন্স বন্ধুরা, এই ছিল পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর যদি এ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানাবেন। সবাইকে আল্লাহ হাফেজ। 

About Author

Setu Rani
Setu Rani is a professional blogger with expertise in passport and visa information. With a passion for travel, she shares insightful guides on international visa processes, passport services, and travel experiences. Her in-depth knowledge helps travelers navigate complex documentation with ease. When she's not writing, Setu explores new destinations and documents her journeys to inspire others.
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে রোমানিয়া ভিসা চেক
Visa

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে রোমানিয়া ভিসা চেক করুন, মাত্র ১ মিনিটে

অনলাইনে পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে রোমানিয়া ভিসার স্ট্যাটাস খুব সহজেই চেক করা যায়। এর জন্য শুধুমাত্র...

পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম
Visa

পাসপোর্ট দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম

আপনি শারীরিকভাবে ফিট রয়েছেন কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য মেডিকেল রিপোর্ট চাওয়া হয়ে থাকে ভিসা...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *