পাসপোর্ট সংশোধন বলতে সাধারণত আপনার পাসপোর্টে ছাপা তথ্যগুলোর মধ্যে যেকোন ভুল, অসামঞ্জস্য বা অপরিবর্তনীয় তথ্যকে সঠিক করার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। অনেকেই রয়েছেন যারা ভুলবশত নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো পাসপোর্টে ভুল দিয়ে থাকেন। তারাই মূলত পাসপোর্টের ভুল সংশোধন কিভাবে করবেন এই নিয়ে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আজকের এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব- পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম এবং পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগে ও ই পাসপোর্ট সংশোধন ফি-সহ যাবতীয় বিষয় নিয়ে।
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগে?
পাসপোর্ট সংশোধনেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিস্তারিত জানার পূর্বে এটা জেনে রাখুন– পাসপোর্ট সংশোধন করতে হলে আপনার ইস্যু করা পাসপোর্টে নতুন করে তথ্য সংশোধনের কোনই সুযোগ নেই। বরং ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আপনাকে পুনরায় নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করতে হবে।
কিভাবে কি করবেন, এর জন্য কোন টাকার প্রয়োজন হবে কিনা অথবা অনলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে কিনা এ সম্পর্কে স্টেপ বাই স্টেপ দেখুন। এর পাশাপাশি আপনি চাইলে পাসপোর্ট সম্পর্কে আরো জানতে সাজেস্টকৃত লিংকে ক্লিক করতে পারেন।
পাসপোর্ট সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা ও সীমাবদ্ধতা
প্রত্যেকটি কাজের নির্দিষ্ট কিছু সীমাবদ্ধতা থেকে থাকে। সুষ্ঠুভাবে কাজ পরিচালনার জন্য এটাই সবচেয়ে কার্যকরী সিস্টেম বলা যায়। যাইহোক পাসপোর্ট সংশোধন এর জন্য আপনাকে মূলত সেই সীমাবদ্ধতা গুলো মাথায় রাখতে হবে।
তাই মনে রাখবেন- যদি পাসপোর্টে ছোটখাটো বানান ভুল থাকে, অভিভাবক বা পিতামাতার নাম লেখা ভুল হয়, ঠিকানা পরিবর্তন বা স্থানীয় ঠিকানার বদলে অন্য কোন ভুল তথ্য দেওয়া থাকে, এম্বা জন্মতারিখ বা বয়সে ভুল থাকে পাশাপাশি পাসপোর্ট অফিসিয়াল ত্রুটি থেকে থাকে সেক্ষেত্রে অনুকূল পরিস্থিতিতে সংশোধন করা যায় যে কারো ই পাসপোর্ট। কিন্তু পাসপোর্ট এর এই ভুল সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন পড়ে। যা নিচে তালিকা আকারে সংযুক্ত করছি।
পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
পাসপোর্ট সংশোধন করতে হলে আপনার হাতের কাছে রাখবেন নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো।
- জাতীয় পরিচয় পত্র/স্মার্ট কার্ড বা এনআইডি কার্ড
- অপ্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট সংশোধন করার প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ ও বাবা-মায়ের ভোটার আইডি কার্ড কাছে রাখবেন।
- শিক্ষা সনদ- সেটা হতে পারে জেএসসি, জেডিসি, এসএসসি, দাখিল অন্যুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কারিগরি ও সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার যেকোনো একটি।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হিসেবে আরো লাগবে অভিবাসীদের ক্ষেত্রে পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট বা জব আইটি কিংবা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড। কারো কারো ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ে।
- ই পাসপোর্ট সংশোধন অথবা নবায়নের জন্য অনলাইন আবেদনের রঙিন মুদ্রিত কপি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট হিসেবে জমা করতে হবে।
- এছাড়াও পুরনো ই পাসপোর্ট এর মূল কপি পাশাপাশি যে পৃষ্ঠাগুলো পাসপোর্ট ধারীর ব্যক্তিগত ও ইমিগ্রেশন এর তথ্য উল্লেখ রয়েছে সেগুলোর ফটোকপি লাগবে।
- সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে সরকারি অন আপত্তি বা অদ্ধাদের সনদপত্র প্রয়োজন হবে
- বৈবাহিক অবস্থা সংযোজন পরিবর্তন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে কাবিননামার প্রয়োজন হবে।
- আবার পাসপোর্ট এর ভুল সংশোধনের সময় যদি প্রয়োজনীয় ফি ব্যাংকের মাধ্যমে জমা করেন তাহলে ফি জমাদানের রশিদও সঙ্গে রাখবেন।
- ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট কিংবা পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা ফর্মে লিখিত আবেদন ও অঙ্গীকারনামার প্রয়োজন হবে।
আর হ্যাঁ, যাদের কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ নেই তাদের নাম, বয়স বাবা মায়ের নাম আংশিক বা সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে হলে আদালতের হলফনামা লাগবে। মূলত উল্লেখিত এই প্রত্যেকটি ডকুমেন্ট যদি আপনি কাছে রাখেন তাহলে পাসপোর্ট সংশোধন করতে আপনার খুব বেশি সময় লাগবে না।
সাধারণত সঠিক প্রসেসে পাসপোর্ট সংশোধন করার পর উক্ত পাসপোর্ট আপনি কত দিনের মধ্যে হাতে পাবেন, কত টাকা খরচ পড়বে, এছাড়াও এই সম্পর্কিত আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে জানাবো। তবে পাসপোর্ট এর ডেলিভারি স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় কি, ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম কি যদি এ ব্যাপারে জানার প্রয়োজন হয় তাহলে আর্টিকেল দুইটি পড়ুন।
ই পাসপোর্ট সংশোধন ফি
বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট সংশোধন জন্য মূলত পরিবর্তন/তথ্য সংশোধন বা রি ইস্যু প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত। সাধারণ পাসপোর্ট ফি ও সংশোধনের জন্য প্রযোজ্য ফি সমূহ–
- ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছরের ই পাসপোর্ট ফি নিয়মিত ডেলিভারির ক্ষেত্রে মানে ১৫ থেকে ২১ কার্য দিবসের মধ্যে পাওয়া যায় এমন পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৪ হাজার ২৫ টাকা।
- ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদী জরুরী ডেলিভারির ভিত্তিতে মানে সাত থেকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পাওয়া যায় সেই পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৬৩২৫ টাকা।
- দুই কার্য দিবসের মধ্যে নিতে চাইলে মানে অতি জরুরী ভিত্তিতে ই পাসপোর্ট সংশোধন করে হাতে পেতে চাইলে খরচ পড়বে ৮৬২৫ টাকা।
অন্যদিকে –
- পাসপোর্ট যদি ১০ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে 15 থেকে 21 কার্যদিবসের মধ্যে সাধারণ ডেলিভারি পাবেন এমন পাসপোর্ট সংশোধন করতে খরচ পড়বে ৫৭৫০ টাকা।
- ৭ থেকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে চাইলে খরচ পড়বে ৮০৫০ টাকা এবং ২ কার্য দিবসের মধ্যে অর্থাৎ অতি জরুরী ভিত্তিতে হাতে পেতে চাইলে সে ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সংশোধনের ফি হিসেবে জমা করতে হবে ১০৩৫০ টাকা।
আমরা জানি, পাসপোর্ট সাধারণত ১০ বছর মেয়াদী এবং পাঁচ বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। এছাড়াও পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠার সংখ্যা হয়ে থাকে 48 এবং 64। ইতিমধ্যে আমরা পাসপোর্ট সংশোধন ফি হিসেবে যেগুলো সাজেস্ট করেছি এগুলো হচ্ছে 48 পাতার পাসপোর্ট এর দাম। এখন নিচের তালিকা থেকে দেখুন ৬৪ পাতা ৫ বছর মেয়াদী এবং ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট সংশোধন করতে চাইলে কত টাকা খরচ পড়বে!
- ৬৪ পাতা- দুই কার্য দিবসের মধ্যে ৫ বছর মেয়াদী এই পাসপোর্ট সংশোধন করে নিতে চাইলে খরচ পড়বে ১২ হাজার ৭৫ টাকা। আর জরুরী ডেলিভারিতে ফি হিসেবে প্রদান করতে হবে ৮৬২৫ টাকা এবং সাধারণ ডেলিভারির ক্ষেত্রে ৬৩২৫ টাকা।
- ৬৪ পাতার ১০ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য খরচ করবে অতি জরুরী ভিত্তিতে ১৩ হাজার ৮০০ টাকা, জরুরী ভিত্তিতে অর্থাৎ ৭ থেকে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে হাতে পেতে চাইলে খরচ পড়বে ১০৩৫০ টাকা এবং ১৫ থেকে ২১ কার্য দিবসের মধ্যে পেতে হলে খরচ পড়বে ৮ হাজার ৫০ টাকা। মূলত সমাজ সীমার উপর ভিত্তি করে পাসপোর্ট এর ভুল সংশোধন বা পাসপোর্ট নতুনভাবে তৈরি করনের জন্য যে ফি নেওয়া হয়ে থাকে তার মধ্যে তারতম্যতা দেখা দেয়।
আর হ্যাঁ, অনেকেই বিদেশে পাসপোর্ট সংশোধন ফি কত টাকা এ ব্যাপারে ও জানতে চান, মূলত বিদেশের সংশোধন বা তথ্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনসুলটে নির্ধারিত ইউএসডি ভিত্তিক ফি প্রযোজ্য হয়। তবে জেনে রাখা জরুরী ফি প্রধানের প্রক্রিয়া ও মাধ্যম সম্পর্কে। যা আমরা এ পর্যায়ে সংযুক্ত করছি।
- বাংলাদেশে, পাসপোর্ট ফি সাধারণত A-Challan এর মাধ্যমে সরকারি ব্যাংকে জমা দিতে হয় অথবা অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা ব্যবহার করা যায়।
- বিদেশে, দূতাবাস/কনস্যুলেটে Money Order / Bank Certified Check / Bank Draft প্রণীত হিসাবে প্রদান করতে হয় (নগদ বা সাধারণ চেক প্রায়শই গ্রহণযোগ্য নয়)।
- কখনো কখনো অনলাইন পেমেন্ট বিকল্প (ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং) থাকতে পারে — সংশ্লিষ্ট দূতাবাস ওয়েবসাইটে নির্দেশ দেওয়া থাকে। তাইতো ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
ই পাসপোর্ট সংশোধন করবেন যেভাবে
পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম বা ধাপে ধাপে ই পাসপোর্ট এর ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি মেনে কোনরকম ঝামেলা ছাড়া আপনার পাসপোর্ট এখনই নির্ভুল করে সংগ্রহ করুন। এর জন্য আপনাকে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ও অঙ্গীকারনামা পূরণ করতে হবে অতঃপর ই পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
অনলাইনে ই পাসপোর্ট সংশোধন করনের জন্য আবেদনের নিয়ম
ভুল তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রথম ধাপে আপনাকে সরাসরি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর আপনাকে পাসপোর্ট নতুন করে ইস্যু করার আবেদন কার্যপ্রক্রিয়া সম্পাদন করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনাকে সেই নিয়ম ফলো করতে হবে যেটা আপনি প্রথম অবস্থায় পাসপোর্ট আবেদন করার সময় করেছিলেন। মানে আপনার পূর্ববর্তী পাসপোট এবং আপনার এনআইডির তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নতুন করে একটি আবেদন জমা করতে হবে। এ সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টও জমা দেওয়া লাগতে পারে।
আর অনলাইনে আবেদন করার জন্য অবশ্যই আপনাকে উক্ত ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করার সময় আপনার, মোবাইল নাম্বার ইমেইল আপনার সঠিক নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে রেজিস্ট্রেশন কার্যপ্রক্রিয়া সম্পাদন করবেন।
পরবর্তীতে পুনরায় পাসওয়ার্ড ও ইউজারনেম বসিয়ে লগইন করে সরাসরি নিচে সাজেস্টকৃত স্টেপ গুলো অনুসরণ করবেন।
যথা– Apply for New Passport অপশনে গিয়ে passport type + personal details + address দিয়ে ID Document

মনে রাখবেন, উল্লেখিত স্টেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আপনার আগের পাসপোর্ট এমআরপি হয়ে থাকলে Yes, I have a machine readable passport (MRP) , এবং পূর্ববর্তী পাসপোর্ট যদি ই পাসপোর্ট হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে Yes, I have Electronic Passport (ePP) অপশনটি বাছাই করতে হবে।
আপনি যখন এই কাজটি করবেন তখন আপনার কাছে জানতে চাওয়া হবে আপনি পাসপোর্টটি ইস্যু করতে চান কি না। তখন আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে Data চেঞ্জ এই অপশনটি। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে বাঁকে কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। পুরো কার্যপ্রক্রিয়া শেষে অনলাইনে আবেদন করার সময় পাসপোর্ট ডেলিভারি অপশন থেকে পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য পাসপোর্ট ফি প্রদান করতে হবে। আপনি উক্ত ফি অনলাইন অথবা অফলাইন উভয়ের মাধ্যমে দিতে পারবেন তবে সাধারণত অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফ্রি প্রদান করা হয়ে থাকে সবচেয়ে বেশি।
ই পাসপোর্ট এর ভুল তথ্য সংশোধনের আবেদন ফরম পূরণ
পাসপোর্ট এর ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফরম নিয়ে কোন কথা বলার নেই। কেননা আপনি পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সংশোধন পদ্ধতি মেনে আবেদন ফরম পূরণ করবেন আপনার প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন প্রদানের মাধ্যমে। যেহেতু ভুল সংশোধন করবেন তাই অবশ্যই আবারো তথ্যগুলো বসানোর সময় বারবার চেক করবেন। সবশেষে ক্লিক করবেন সাবমিট বাটনে। এক কথায় পাসপোর্টের অঙ্গীকারনামা পূরণ করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর
পাসপোর্ট সংশোধনের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে থাকেন অনেকেই। যেমন–
- পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত সময় নেয়? ইতিমধ্যে আমরা সময়ের বিষয়ে আলোচনা করেছি। কেননা এক একটা পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় লাগতে পারে। এটা অফিস ও আবেদন সংখা অনুযায়ী কম-বেশি হয়ে থাকে।
- কেউ কেউ জানতে চান পাসপোর্ট সংশোধনের ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিশেষ বিধান কি? অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হতে পারে পাসপোর্ট সংশোধনের ক্ষেত্রে আর বলতে পারেন এটাই বিধান। একথায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো অবশ্যই জমা করতে হবে পাসপোর্ট সংগ্রহের সময়।
এছাড়াও আরো টুকটাক প্রশ্ন করেন অনেকে। যেগুলো আমরা আলোচনায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে এর বাইরে যদি আরো কিছু জানার থাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা: তো পাঠক বন্ধুরা, ই পাসপোর্ট সংশোধনের নিয়ম এবং পাসপোর্ট সংশোধন করতে কি কি লাগে এবং ই পাসপোর্ট সংশোধন ফি কত এই নিয়ে আজকের আলোচনায় পর্যন্তই। আরো বিস্তারিত জানতে আমাদের ই পাসপোর্ট চেক অনলাইন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।