আপনি কি সার্বিয়া ভিসার জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু আপনার ভিসা প্রস্তুত হয়েছে কিনা জানেন না? সার্বিয়া ভিসা চেক করার মাধ্যমে আপনি আপনার ভিসার বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন। আজকের এই লেখায় কীভাবে পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করে সার্বিয়া ভিসা চেক এবং সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক করা যায়, তা আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি সার্বিয়া ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন, তবে অনলাইনে আপনার ভিসার আবেদন কোন অবস্থায় আছে তা যাচাই করতে পারবেন। আর যদি আপনি ইতোমধ্যে সার্বিয়া ভিসা হাতে পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটি আসল কিনা, মাত্র ১ মিনিটে তা পরীক্ষা করে নিতে পারবেন।
তাই চলুন, অনলাইনে সার্বিয়া ভিসা চেক করার বিস্তারিত নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এছাড়াও, যারা সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে এই দেশে যেতে আগ্রহী, তারা অবশ্যই সার্বিয়ার বেতন কত সেই সম্পর্কেও জেনে নেবেন, তাহলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। সেই সাথে সার্বিয়াতে কোন কাজের বেতন ও চাহিদা বেশি, সেই তথ্যও জেনে নেওয়া উচিত।
সার্বিয়া ভিসা চেক অনলাইন ২০২৫
আপনি এখন অনলাইনে ওয়ার্ক পারমিট নম্বর ব্যবহার করে সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক করতে পারবেন। অনলাইনে তথ্য যাচাই করে সেটির সত্যতা নিশ্চিত করা উচিত। ওয়ার্ক পারমিট পেপারে আপনার ওয়ার্ক পারমিট নম্বরটি দেওয়া আছে। সেখান থেকে নম্বরটি সংগ্রহ করে নিচে উল্লেখিত পদ্ধতিতে সহজেই সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট যাচাই করতে পারবেন।
এখন আর সার্বিয়া ভিসার স্ট্যাটাস চেক করার জন্য দূতাবাসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘরে বসেই আপনি মাত্র এক মিনিটে ওয়ার্ক পারমিট নম্বর দিয়ে সার্বিয়া ভিসা যাচাই করতে পারবেন। কীভাবে সার্বিয়া ভিসা চেক করতে হয়, তা এবার ধাপে ধাপে দেখে নিন।
ধাপ ১: সার্বিয়া অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
অনলাইনে সার্বিয়া ভিসার স্ট্যাটাস চেক করার জন্য প্রথমে https://ceop.apr.gov.rs/ceopweb/sr-cyrl/ এই ওয়েবসাইটে আপনাকে যেতে হবে। এরপর উপরের মেন্যু অপশন থেকে English ভাষাটি নির্বাচন করুন।
ধাপ ২: ওয়ার্ক পারমিট তথ্য পূরণ করুন
ওয়ার্ক পারমিট নম্বর দিয়ে ভিসা যাচাই করার জন্য প্রথমে Submission number অপশনটি নির্বাচন করুন। এরপর সার্চ বক্সে আপনার সার্বিয়া ভিসার ওয়ার্ক পারমিট নম্বরটি প্রবেশ করান। সবশেষে Search বাটনে ক্লিক করলে আপনি আপনার সার্বিয়া ভিসার বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন।
ধাপ ৩: কোম্পানির নাম দিয়ে সার্চ করুন
ওয়ার্ক পারমিট নম্বর ছাড়াও সার্বিয়াতে আপনার নিয়োগকারী কোম্পানির নাম ব্যবহার করেও ভিসা যাচাই করা সম্ভব। এর জন্য, আপনাকে Investors অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। এরপর সার্বিয়া কোম্পানির নামটি লিখে Search বাটনে ক্লিক করলে আপনার ভিসা প্রস্তুত হয়েছে কিনা তা দেখতে পারবেন।
এভাবেই উপরোক্ত তিনটি ধাপ অনুসরণ করে মাত্র এক মিনিটের মধ্যে সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট তৈরি হয়েছে কিনা তা জানা যায়। সেই সাথে সার্বিয়া ভিসা আসল নাকি নকল, সেটিও যাচাই করা সম্ভব।
সার্বিয়া বেতন কত ২০২৫
সার্বিয়ার মাসিক গড় বেতন হলো ৬৯,৬৭৩ সার্বিয়ান দিনার, যা প্রায় ৫৮০ ইউরো বা ৬৩০ মার্কিন ডলারের সমতুল্য। সাধারণত এই বেতন কর কাটার পর দেওয়া হয়। তবে, আপনার পেশা, অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কর্মস্থলের ওপর ভিত্তি করে এই বেতনের পরিমাণে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা যেতে পারে।
বর্তমানে সার্বিয়ার বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে বিদেশি শ্রমিকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, ফলে এখানে হাজারো বিদেশি কর্মী কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এই পরিস্থিতির কারণে ভালো বেতনের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাধারণত সার্বিয়ায় ইলেকট্রিশিয়ান, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্যাল এবং ড্রাইভিং পেশার লোকেরা বেশ ভালো বেতন পান। কিছু ক্ষেত্রে, এসব কাজের জন্য বেতন ৮০০ থেকে ১,০০০ ইউরো পর্যন্ত হয়, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মধ্যে পড়ে।
তবে, ওয়ার্ক পারমিট ভিসাধারী শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম বেতন ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে। সার্বিয়া বিদেশি শ্রমিকদের জন্য ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতোই প্রতিযোগিতামূলক বেতন দিচ্ছে। সার্বিয়াতে কোন কাজের বেতন কত, তা নিচে টেবিল আকারে তুলে ধরা হলো:
| ক্রমিক নং | কাজের নাম | মাসিক বেতন |
| ১ | ইলেকট্রিশিয়ান | ৮০,০০০-১,০০,০০০ টাকা |
| ২ | কৃষি কাজ | ৬০,০০০-৯০,০০০ টাকা |
| ৩ | ডেলিভারি ম্যান | ৮০,০০০-১,২০,০০০ টাকা |
| ৪ | শেফ | ৭০,০০০-৯০,০০০ টাকা |
| ৫ | কনস্ট্রাকশন শ্রমিক | ৬০,০০০-৯০,০০০ টাকা |
| ৬ | অটোমোবাইল সার্ভিস | ৮০,০০০-১,২০,০০০ টাকা |
| ৭ | ওয়েটার | ৬০,০০০-১,০০,০০০ টাকা |
| ৮ | ড্রাইভিং | ৬০,০০০-৯০,০০০ টাকা |
| ৯ | রিসেপশনিস্ট | ৭৫,০০০-১,০০,০০০ টাকা |
| ১০ | কারখানার কাজ | ৭০,০০০-৯০,০০০ টাকা |
| ১১ | প্লাম্বার | ৬৫,০০০-১,০০,০০০ টাকা |
| ১২ | ভেটেরিনারিয়ান | ৮০,০০০ – ১,২০,০০০ টাকা |
আপনি চাইলে করতে পারেনঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কাতার ভিসা চেক
সার্বিয়া কাজের ভিসা বেতন কত
ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় সার্বিয়া বেশ উন্নত। এই কারণে সার্বিয়া যাওয়ার জন্য তিন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়: সার্বিয়া স্টুডেন্ট ভিসা, সার্বিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা এবং সার্বিয়া কাজের ভিসা। প্রতিটি ভিসার খরচ আলাদাভাবে নির্ধারিত থাকে।
কাজের জন্য সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চাইলে খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি পড়বে। তবে প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। সেই সময় আপনারা অনলাইনে ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করে সার্বিয়া কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে সার্বিয়ার ভিসার আবেদন করার আগে সার্বিয়া কাজের ভিসার বেতন কত, তা জানা আবশ্যক। তাই পাঠকদের সুবিধার্থে এখন সার্বিয়া কাজের ভিসার বেতন কত তা বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। যদি আপনি সার্বিয়া কাজের ভিসা বা সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য যেতে পারেন, তবে প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
এছাড়া, যদি কনস্ট্রাকশন, ইলেকট্রিশিয়ান বা ড্রাইভিং-এর মতো কাজে যেতে পারেন, তবে মাসে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৬ লক্ষ টাকার বেশিও উপার্জন করা সম্ভব। তবে সার্বিয়ার কোনো কোম্পানিতে যদি অভিজ্ঞতা ছাড়া কাজের জন্য যান, তাহলে মাসে ৫০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
সার্বিয়া সর্বোচ্চ বেতন কত
সার্বিয়ায় কাজের ভিসার মাধ্যমে সর্বোচ্চ বেতন ২০০০ থেকে ৩০০০ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে, যা সাধারণত বিদেশি নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য। এই পরিমাণ বেতন পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই অত্যন্ত দক্ষ শ্রমিক হতে হবে। দক্ষতা প্রদর্শনের পরই পদোন্নতির মাধ্যমে আপনি এই বেতনে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
সাধারণত অফিস সহায়ক এবং বিশ্বস্ত ড্রাইভাররা এই ধরনের বেতন পেয়ে থাকেন। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে হোটেলের ক্যাশিয়াররাও এমন বেতন পেয়ে থাকেন।
সার্বিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত
অনেকেই এখন সার্বিয়া যাওয়ার আগে দেশটির সর্বনিম্ন বেতন কত, তা জানতে আগ্রহী হন। মূলত সার্বিয়া একটি উন্নত রাষ্ট্র, যেখানে কাজের ধরন ও অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে বেতন দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে যদি আপনার কাজের ওপর ভালো অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে প্রতি মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
বর্তমানে বাংলাদেশি টাকায় সার্বিয়ার সর্বনিম্ন বেতন ৪৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা। তবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে মাসে ১ লক্ষ টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করা সম্ভব। এছাড়াও, যদি আপনি সার্বিয়ার কোনো কোম্পানিতে যেতে পারেন, তাহলে মাসে ১ লক্ষ টাকা থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
ইউরোপের এই দেশে ওভারটাইম কাজ করলে আপনি অতিরিক্ত মজুরি পাবেন। এই দেশে শ্রমিকদের জন্য সাধারণত প্রতি সপ্তাহে মোট ৪০ ঘণ্টা কাজের বেসিক ডিউটি নির্ধারিত থাকে, যা দৈনিক ৮ ঘণ্টা করে কাজ করতে হয়।
সার্বিয়া কোন কাজের বেতন বেশি?
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা সাধারণত সার্বিয়াতে গিয়ে দক্ষতা-নির্ভর কাজগুলোই বেশি করে থাকেন। তাই, প্রবাসীদের দৃষ্টিকোণ থেকে সার্বিয়াতে কোন কাজগুলোতে বেতন বেশি, সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
- ডেলিভারি ম্যান
- রেস্টুরেন্টের ওয়েটার
- ড্রাইভার
- ইলেকট্রিশিয়ান
- প্লাম্বার
- অটোমোবাইল সার্ভিস
- কনস্ট্রাকশন (রাজমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি, ওয়েল্ডার)
বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় এই দেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই এমন এক বা একাধিক কাজের ওপর দক্ষতা অর্জন করে যাবেন, যেগুলোর চাহিদা ও বেতন বেশি। কারণ কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা না থাকলে শ্রমিকদের চাহিদা এবং বেতন কম হয়ে থাকে।
সার্বিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
সার্বিয়াতে কাজের সুযোগ প্রচুর, তবে কিছু নির্দিষ্ট কাজের চাহিদা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এই উচ্চ-চাহিদার পেশাগুলোতে বেতনও বেশি হয়ে থাকে। সার্বিয়াতে যেসব কাজের চাহিদা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- আইটি এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট: প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে এ ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর চাহিদা বেড়েছে।
- ইলেকট্রিশিয়ান: নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এ পেশার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
- মেকানিক্যাল এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং: উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য এ পেশাগুলোর জন্য অনেক চাহিদা রয়েছে।
- স্বাস্থ্যকর্মী: নার্স এবং ডাক্তারদের জন্য সব সময় চাহিদা বিদ্যমান।
- ড্রাইভার: পরিবহণ খাতে পেশাদার ড্রাইভারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
- ফ্যাক্টরি কর্মী: উৎপাদন খাতের জন্য দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে।
- কৃষি শ্রমিক: কৃষি ক্ষেত্রে মৌসুমি কাজের জন্য কর্মী দরকার হয়।
- গ্রাফিক ডিজাইনার: ডিজিটাল মিডিয়ার বৃদ্ধির সাথে সাথে এ ক্ষেত্রেও অনেক চাহিদা দেখা যাচ্ছে।
- মার্কেটিং এবং বিক্রয়: বিভিন্ন পণ্য ও সেবার জন্য সেলস এক্সিকিউটিভদের চাহিদা বাড়ছে।
- ডাটা অ্যানালিস্ট: ব্যবসায়িক তথ্য বিশ্লেষণের জন্য দক্ষ ডাটা অ্যানালিস্টের প্রয়োজন রয়েছে।
- ফিনান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং: ফিনান্সিয়াল অ্যানালিস্ট এবং অ্যাকাউন্টেন্টদের জন্য চাহিদা বরাবরই থাকে।
- টেকনিক্যাল সাপোর্ট: প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য বিশেষজ্ঞ কর্মীদের প্রয়োজন।
- অটোমোবাইল টেকনিশিয়ান: গাড়ি মেরামতের কাজের জন্য দক্ষ মেকানিকের চাহিদা রয়েছে।
- সিকিউরিটি গার্ড: নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা কর্মীদের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে।
- কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার: নির্মাণ প্রকল্প পরিচালনার জন্য অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপকের প্রয়োজন।
এই সব কাজের জন্য বেতনও তুলনামূলকভাবে ভালো, যা বিদেশি কর্মীদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলে।
সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর (FAQs)
আমি কি শুধু ওয়ার্ক পারমিট নাম্বার দিয়ে সার্বিয়া ভিসা চেক করতে পারব?
জ্বি, শুধু ওয়ার্ক পারমিট নাম্বার দিয়ে সার্বিয়া ভিসা চেকিং করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে সঠিক ওয়ার্ক পারমিট নাম্বার লাগবে। ভুল ওয়ার্ক পারমিট নাম্বার দিয়ে কখনোই সার্বিয়া ভিসার স্ট্যাটাস চেক করা যাবে না।
সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত দিন লাগে?
সাধারণত সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে ৭ দিন থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ২ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। তবে অধিকাংশ সময় ৩০ দিনের মধ্যেই সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট হাতে পাওয়া যায়।
সার্বিয়া ভিসা প্রসেসিং টাইম কতদিন?
সার্বিয়া ভিসা প্রসেসিং টাইম ৭ কার্যদিবস থেকে ৩০ কার্যদিবস। সার্বিয়া ভিসা প্রসেসিং হতে ৭ কার্যদিবস হতে ৩০ কার্যদিবস পর্যন্ত সময় লাগে। আবার কারো কারো এর আগেও সার্বিয়া ভিসা প্রসেসিং হয়ে যায়। তবে সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রসেসিং হলে একটু বেশি সময় লাগে।
বাংলাদেশ থেকে সার্বিয়া যেতে কত সময় লাগে?
বাংলাদেশ থেকে যদি বিমানে করে সার্বিয়া যেতে চান, তাহলে সাধারণত প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
সার্বিয়া থেকে কোন দেশে যাওয়া যায়?
সার্বিয়া থেকে আপনি খুব সহজেই হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কসোভো, মন্টিনিগ্রো, আলবেনিয়া এবং উত্তর মেসিডোনিয়ার মতো আশেপাশের দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন।
সার্বিয়া থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়?
সার্বিয়া থেকে ফ্রান্স, ইতালি, হাঙ্গেরি, ক্রোয়েশিয়া ইত্যাদি দেশে সহজে যাওয়া যায়।
বাংলাদেশ থেকে সার্বিয়া দূরত্ব কত কিলোমিটার?
বাংলাদেশ থেকে সার্বিয়ার দূরত্ব প্রায় ৬,৫৮৪ কিলোমিটার।
সার্বিয়া ১ দিনার বাংলাদেশের কত টাকা?
১ সার্বিয়ান দিনার সমান প্রায় ১ টাকা ২০ পয়সা বাংলাদেশী টাকা।
বাংলাদেশ টু সার্বিয়া বিমান ভাড়া কত?
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সার্বিয়া পর্যন্ত বিমান ভাড়া সাধারণত ১ লাখ ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
শেষ মতামত
যারা সার্বিয়া যেতে চান, তাদের অবশ্যই অনলাইনে সার্বিয়া ভিসা চেক করে নিশ্চিত হতে হবে যে ভিসাটি সঠিক আছে। তাই ইচ্ছুক ব্যক্তিরা উপরে দেওয়া ধাপগুলো অনুসরণ করে সহজেই তাদের সার্বিয়া ভিসাটি যাচাই করে নিতে পারেন।
সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সার্বিয়া বেতন কত জেনে উপরে উল্লেখিত এক বা একাধিক কাজের উপর ভালো দক্ষতা অর্জন করে অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন। তবেই আপনি অনেক কাজ পাবেন এবং প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ বেতন পাবেন। নতুন অবস্থায় স্কিল জানা না থাকলে কম বেতনে কাজ করতে হবে। নতুন অবস্থায় কাজ খুঁজে পেতেও সমস্যা হবে।